শারিরীকভাবে অক্ষম ব্যক্তি বলতে আমরা বুঝি এমন কোনো ব্যক্তি, যে তার কোনো দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা, বার্ধক্যজনিত কারণ অবা জন্মগত ত্রুটি বা দুর্ঘটনাকবলিত কারণে আজীবন প্রতিবন্ধীতার কারণে দৈনন্দিন জীবনের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সহায়ক যন্ত্র এবং প্রযুক্তির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল সামগ্রিক সুস্থতা উন্নত করা যা একজন ব্যক্তির কার্যকারিতা বজায় রাখা। কার্যকারিতা, অক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন (ICF) অনুযায়ী সহায়ক যন্ত্র এবং প্রযুক্তি হ'ল যে কোনো পণ্য, যত্ন, সরঞ্জাম বা প্রযুক্তি যা বিশেষভাবে সক্ষম বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন (ISO) সহায়ক যন্ত্রগুলোকে আরও বিস্তৃতভাবে সংজ্ঞায়িত করে বিশেষভাবে উৎপাদিত বা সাধারণভাবে উপলব্ধ পণ্য হিসাবে, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বারা বা তাদের জন্য ব্যবহৃত হয়: তাদের অংশগ্রহণের জন্য; তাদের সুরক্ষা, সমর্থন, প্রশিক্ষণ, শরীরের কাঠামো এবং কার্যকলাপের বিকল্প হিসেবে; ৰা প্রতিবন্ধকতা, কার্যকলাপের সীমাবদ্ধতা বা অংশগ্রহণের সীমাবদ্ধতা প্রতিরোধ করতে।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা
উল্লেখিত শিখনফল অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা বভিন্নি আইটেমের জব (কাজ) সম্পন্ন করব। এই জবের মাধ্যমে আমরা শারীরকি অক্ষমতায় ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো সনাক্ত করতে পারবো, ব্যবহার ও রক্ষণাবক্ষেণরে উপায় জানতে পারবো। জবগুলো সম্পন্ন করার পূর্বে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ জানব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অক্ষমতা বা প্রতিবন্ধীতার তিনটি মাত্রা আছে:
১। জন্মগত ত্রুটি
২। বাহ্যিক আঘাত
উদাহরণস্বরূপ, মস্তিষ্কের আঘাত বা মেরুদণ্ডের আঘাত
৩। দীর্ঘস্থায়ীরোগ
উদাহরণস্বরূপ, ডায়াবেটিস, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, স্নায়ুর ক্ষতি বা অঙ্গহানির মতো অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে। নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, মসকুলার ডিসট্রোফি, নিউরোপ্যাথি ইত্যাদি।
৫। বার্ধক্য জনিত রোগ
শারীরিক অক্ষমতা হল একজন ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী অবস্থা যা তার শরীরের যেকোন একটি অংশকে প্রভাবিত করে তাদের শারীরিক কার্যকারিতা, গতিশীলতা, সহনশীলতা বা দক্ষতাকে দুর্বল ও সীমিত করে। শারীরিক ক্ষমতা হ্রাসের ফলে ব্যক্তির শরীরের চলনশক্তি যেমন, হাত ও বাহু নড়াচড়া করা, বসা- দাঁড়ানো-হাঁটা এবং সেইসাথে তাদের পেশী নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমে যায়। শারীরিক অক্ষমতা ব্যক্তির নির্দিষ্ট কাজগুলো করতে বাধা দেয় না, তবে সেগুলোকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শারীরিক অক্ষমতাকে সংজ্ঞায়িত করা হয় শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে না, বরং এটি কীভাবে দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে তার উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ শারীরিক অক্ষমতার উদাহরণ:
সেরিব্রাল পালসি: সেরিব্রাল পালসি শিশুদের বিকাশকালীন সময়ে ঘটে, যার ফলে বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আচরণগত অক্ষমতা সহ সাধারণত নড়াচড়া এবং সমন্বয়ের সমস্যা হয়ে থাকে ।
মস্তিষ্কের আঘাত: মস্তিষ্কের আঘাত যেমন: স্ট্রোক, মাথায় আঘাত, অ্যালকোহল, ওষুধ, অক্সিজেনের অভাব বা ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন রোগ সহ বিভিন্ন কারণে হতে পারে। মস্তিষ্কের আঘাত ও আবদ্ধতা ব্যক্তির প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে।
মেরুদন্ডের আঘাত: ফলে শরীর এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্রিয়াকলাপের সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রতিবন্ধকতা হতে পারে। মেরুদণ্ডের আঘাতও ব্যক্তির প্যারালাইসিসের কারণ হতে পারে।
মৃগী রোগ: মৃগীরোগ হল একটি স্নায়বিক অবস্থা যা একজন ব্যক্তির বারবার খিঁচুনি হওয়ার প্রবণতা সৃষ্টি করে। ।
আর্থ্রাইটিস: আর্থ্রাইটিস হাড়ের সংযোগস্থলে প্রদাহ সৃষ্টি করে। এটা শিশুদের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদেরও প্রভাবিত করতে পারে।
শারীরিক অক্ষমতায় ব্যবহৃত সহায়ক যন্ত্রগুলোকে গতিশীলতা সহায়ক যন্ত্রও বলা যায়। যেমন হুইলচেয়ার, ওয়াকার, ক্রাচ, মেডিকেল বেড এবং অর্থোটিক ডিভাইস।
হুইলচেয়ার হল চাকা সহ একটি চেয়ার যা অসুস্থতা, আঘাত, বার্ধক্যজনিত সমস্যা বা অক্ষমতার কারণে চলাফেরায় সমস্যা বা তা অসম্ভব হলে ব্যবহৃত হয়। হুইলচেয়ারগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের ফর্ম্যাটে আসে। এগুলোতে বিশেষ বসার অভিযোজন, স্বতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং স্পোর্টস হুইলচেয়ারগুলোর বিশেষ কার্যকলাপের জন্য নির্দিষ্ট হতে পারে। ব্যবহারকারী নিজে বা সাহায্যকারী কেউ বল প্রয়োগ করে ম্যানুয়াল হুইলচেয়ার চালায়। মোটর চালিত হুইলচেয়ারগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এগুলো ব্যাটারি এবং বৈদ্যুতিক মোটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
একটি মেডিকেল বেড হল একটি বিছানা যা বিশেষভাবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য বা যাদের কিছু বিশেষ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন তাদের জন্য ব্যবহার করা হয়। রোগীর আরাম ও সুস্থতার জন্য এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সুবিধার জন্য এই বিছানাগুলোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাধারণত এর অংশগুলোর মধ্যে আছে বিছানা, মাথা এবং পায়ের জন্য উচ্চতার সামঞ্জস্য করার ব্যবস্থা, সামঞ্জস্যযোগ্য পার্শ্ব রেল, এবং মেডিকেল বেডের সকল কার্যকারিতার ইলেকট্রনিক কন্ট্রোল। মেডিকেল বেডের কার্যকারিতা এবং শক্তির উৎসের উপর ভিত্তি করে এগুলো তিন ধরনেরঃ
• ম্যানুয়াল বেড
• সেমি ইলেক্ট্রনিক বেড
• পূর্ণ ইলেক্ট্ৰনিক বেড
শারিরীক অক্ষমতায় ব্যবহৃত সহায়ক যন্ত্র
বৈশিষ্ট্য
প্রাত্যহিক পরিচর্যা:
১. বিছানা এবং গদি প্রতিদিন পরীক্ষা এবং পরিষ্কার করা উচিত। রোগী যখন বিছানায় থাকবে না তখন এটা করতে হবে। যদি এটি সম্ভব না হয় তবে রোগীকে ব্যাখ্যা করতে হবে যে কি করা হচ্ছে।
২. হাত ধুয়ে একটি এপ্রোন এবং এক জোড়া গ্লাভস পরে নিতে হবে।
৩. ডিসপোজেবল ওয়াইপ ব্যবহার না করলে, প্রস্তুতকারকের নির্দেশিকা অনুযায়ী বালতিতে পরিষ্কার পানি ও ডিটার্জেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
৪. বিছানাটি সুবিধাজনক উচ্চতায় উঠাতে বাঁ নামাতে হবে।
৫. বিছানার ফ্রেম থেকে যেকোনো জিনিস সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে।
৬. উপর থেকে নীচের দিকে পরিষ্কার করার পর বেডের উপরের অংশগুলো তারপর পৃষ্ঠের প্রান্ত এবং নীচের দিকগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
৭. গদি পরিষ্কার করার সময়, একটি S-আকৃতিতে এবং অন্য আরেকটি কাপড় ব্যবহার করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। গদিটি ঘুরিয়েনাও এবং নীচের অংশটি পরিষ্কার করার পর সমস্ত প্রাপ্ত পরিষ্কার কর। ময়লা হয়েগেলে পরিষ্কার করার দ্রবণ এবং কাপড় পরিবর্তন করে গদিটি শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর একটি জীবাণুনাশক দিয়ে সমস্ত পৃষ্ঠ মুছে ফেলতে হবে।
৮. বিছানা সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে বেডশিট বিছিয়ে বিছানাটিকে তার আসল অবস্থানে নিয়ে আসতে হবে।
৯. পরিষ্কার করার জন্য প্রবণ ব্যবহার করা হয়েছে তা ফেলে দিতে হবে।। এপ্রোন এবং গ্লাভস খুলে হাত আবারো ধুয়ে নিতে হবে।
১০. পরিষ্কারের সময় ও তারিখ চার্টে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
একটি ওয়াকার বা হাঁটার ফ্রেম এমন একটি ডিভাইস যা হাঁটার সময় ভারসাম্য বা স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অতিরিক্ত সহায়তা দেয়, সাধারণত বয়স-সম্পর্কিত গতিশীলতার অক্ষমতা বা প্রতিবন্ধীতার কারণে। যারা পায়েৰা পিঠের আঘাত থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন তারা প্রায়ই ওয়াকার ব্যবহার করেন। এটি সাধারণত যারা হাঁটার সমস্যা বা হালকা ভারসাম্যের সমস্যা আছে তারা ব্যবহার করেন।
বিভিন্ন ধরনের ওয়াকার
১. হাইব্রিড ওরাকার (Hybrid Walker):
একটি হাইব্রিড ওয়াকারে দুটি পা থাকে যা পার্শ্বীয় ভারসাম্য রক্ষায় সমর্থন দেয়। এটি ব্যবহারকারীকে এক বা দুই হাতে ব্যবহার করে, সামনে ও পাশে, পাশাপাশি একটি সিঁড়ি আরোহণের জন্য সামঞ্জস্যতা প্রদান করে।
২. রোলেটর (Rollator) :
ওয়াকারের একটি ভিন্ন পদ্ধতি হ'ল রোলটর, যাকে ঢাকাযুক্ত ওয়াকারও বলা হয়। রোলেটরটিতে তিন বা চারটি বড়চাকা, হ্যাভেলবার এবং একটি ফ্রেম থাকে, যা ব্যবহারকারীকে সহজে চলাফেরায় সাহায্য করে। এগুলোর উচ্চতা উঠা নামা করে ব্যবহারকারীর সুবিধা অনুযায়ী সামজস্য করা যায়। হ্যান্ডেলৰাৱে হ্যান্ডৱেক আছে যার সাহায্যে রোলেটরটিকে তাৎক্ষণিকভাবে থামানো সম্ভব।
৩. জিমার ফ্রেম (Zimmer Frame):
জিমার ফ্রেমটি হাঁটার সাহায্যের সবচেয়ে উপযোগী একটি ওয়াকার। জিমার ফ্রেমের সামনে দুটি ঢাকা আছে।
শারিরীক অক্ষমতায় ব্যবহৃত সহায়ক যন্ত্র
ওয়াকার ব্যবহারকারীর জন্য টিপস
পরিচর্যা পদ্ধতি
১. সময়ের সাথে সাথে ওয়াকার বেশ নোংরা হতে পারে। এর ফলে অংশগুলো দ্রুত জীর্ণ হয়ে যেতে পারে। সপ্তাহে একবার সাবান এবং পানি দিয়ে ওয়াকার মুছতে হবে। ফ্রেম, চাকা, আসন এবং হ্যান্ডলগুলো পরিষ্কার করতে হবে। চাকাগুলো নিখুঁতভাবে ঘুরছে কিনা তা লক্ষ্য করতে হবে। ওয়াকার বৃষ্টিতে ভিজে গেলে দ্রুত শুকিয়েনিতে হবে।
২. যদি ওয়াকারে কোনো সিট থাকে, তা সপ্তাহে একদিন পরীক্ষা করে দেখতে হবে। নিরাপদে থাকার জন্য নিশ্চিত করতে হবে যে সিটটি ছিড়ে নিয়েছে কিনা তা পরীক্ষা কর।
৩. যদি ওয়াকারে কোনো চাকা থাকে, তাহলে খেয়াল রাখতে হবে যে তা চাকাগুলো সমানভাবে মাটিতে স্পর্শ করে কিনা। না করলে ওয়াকার মেরামত না করে ব্যবহার করা যাবে না। এই চাকাগুলো সঠিকভাবে সারিবদ্ধ না থাকলে সহজেই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। ভাই কোনো সমস্যা হলে একজন সারভিসিং এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ।
৪. গ্রিপ পরীক্ষা করতে হবে। ওয়াকারের গ্রিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রিপ নষ্ট হলে পরিবর্তন করতে হবে।
৫. ব্রেক হল রোলিং ওয়াকারের সবচেয়েগুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলো সঠিকভাবে কাজ না করলে, ওয়াকার ব্যবহারকারী দুর্ঘটনার আক্রান্ত হতে পারেন।
পারদর্শীতার মানদণ্ড :
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি/ইকুইপমেন্ট
১। নরম কাপড়, ২। উষ্ণ পানি, ৩।ডিটারজেন্ট পাউডার, ৪।স্ক্রু-ড্রাইভা ৫। লগ বুক
কাজের ধারাঃ
১। একটি নরম, ভেজা কাপড় দিয়ে বিছানার উপরিভাগ হাত দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। শক্ত কোন ক্লিনার বা সাবান ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে শুধুমাত্র উষ্ণ জল এবং হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
২. বিছানা মুছে এমনভাবে শুকিয়ে নিতে হবে যেন, ব্যবহার করা ডিটারজেন্ট বিছানায় জমে না থাকে ।
৩। বিছানার ম্যাট্রেছ পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে ম্যানুফ্রাকচারিং কোম্পানির নির্দেশীকা অনুসরণ করতে হবে।
৪। ম্যাট্রেছের কভার নষ্ট বা ছিড়ে গেলে তা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পরিবর্তন করে দিতে।
৫। বিছানায় বিভিন্ন জায়গায় লাগানো স্ক্রু, হুকিং পিন, হাই-লো সংযোগকারী টিউব, স্প্রিং ইত্যাদি পরীক্ষা করে তাতে গ্রীস লাগিয়ে দিতে হবে।
৬। প্রতি দুই বছরে, বিছানার রেল শ্যাফ্ট, নাইলন ওয়াশার এবং হাই-লো মেকানিজম পরীক্ষা করে তাতে গ্রীস লাগাতে হবে।
৭। সমস্ত বোল্ট, লকনাট এবং স্ক্রুগুলো পরিদর্শন করে তা এবং শক্ত করে লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৮। সাইডরাইলগুলো সঠিকভাবে লাগানো আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে
৯। পায়ের এবং মাথার সাপোর্টের জন্য বেডের যে অংশ রয়েছে তা অক্ষত ও সঠিক আছে কি না, তা পরিক্ষা করতে হবে।
১০। বেডের ঢাকা সঠিকভাবে শক হয় কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
১১। বেডটি পরীক্ষা করার দিন ও তারিখ লগ বইতে লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে।
কাজের সতর্কতাঃ
১। কাজের সময় পিপিই ব্যবহার পরতে হবে।
২। পদ্ধতির আগে এবং পরে সঠিকভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
৩। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানুয়াল সাথে রাখতে হবে।
৪। মনে রাখতে হবে যে, মেডিকেল বিছানা রক্ষণাবেক্ষন মানে জীবানুমুক্তকরন নয়
৫। কাজটি করার সময় পেশাগত ঝুঁকি এড়াতে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে করতে হবে।
অর্জিত দক্ষতা / ফলাফল: তুমি মেডিকেল বেড রক্ষণাবেক্ষণে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছ।
ফলাফল বিশ্লেষণ/মন্তব্য: আশাকরি বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।
পারদর্শিতার মানদণ্ড
ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (PPE): প্রয়োজন অনুযায়ী ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্টস ও মেশিন)
জব অনুযায়ী যদি প্রয়োজন হয়।
কাজের ধারাঃ
১। ওয়াকারটি শুধুমাত্র হাঁটার জন্য সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করতে হবে এটি শুধুমাত্র চলাচল যোগ্য ফুটপাথ বা বাড়িতে ব্যবহার করতে হবে।
২। পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে, যে সমস্ত চাকা এবং ভাঁজ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করে কিনা এবং সমস্ত চাকা অবাধে চলাচল করে কিনা। সামনের চাকার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
৩। যদি লকিং সিস্টেম থাকে তাহলে সেই লকিং বন্ধনীটি পরীক্ষা করে সর্বদা নিশ্চিত করতে হবে যে, এটি ব্যবহারের জন্য নিরাপদে রয়েছে।
৪। যদি কোনো চাকা ঘুরতে বা নড়াচড়ায় অসুবিধা হয় এবং সেই ত্রুটির জন্য রোগীর কোনো ক্ষতির আশংকা থাকে তাহলে ওয়াকারটি ব্যবহার না করাই ভালো।
৫। মাসিক চেক - সাইড লকিং লেভেলগুলো সঠিকভাবে সুরক্ষিত কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
৬। কোন উপাদান আলগা আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
৭। ওয়াকারে যদি কোনো ব্রেক সন্নিবেশিত থাকে তাহলে তা পরীক্ষা করে ব্রেকগুলো সঠিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ন করে নিতে হবে।
৮। ওয়াকারটিকে হালকা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
৯। যদি ওয়াকারটিতে কোনো সমস্যা দেখা যায় তাহলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে তার সমাধান করতে হবে। রোগীকে ওয়াকার ব্যবহার করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞানদান করতে হবে।
১০। ওয়াকারটি রোগীর নাগালের মধ্যে একটি নির্ধারিত জায়গায় সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
অর্জিতি দক্ষতা/ফলাফলঃ তুমি ওয়াকার রক্ষনাবক্ষেনরে প্রক্রয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়ছে। ।
ফলাফল বশ্লিষেন ও মন্তব্যঃ আশাকরি বাস্তব জীবনে তুমি এর যথাযথ প্রয়োগ করতে পারবে।